আজ বৃহস্পতিবার, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

করোনায় চাপ নেই পুলিশের, আমলাপাড়ায় রমরমা মাদক বাণিজ্য

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

শহরের প্রতিটি অলিগলি ও রাস্তা ফাঁকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া হয়েছে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের চিহ্নিত মাদক বিক্রেতারা। বিশেষ করে শহরের আমলাপাড়া এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে চলছে মাদক বানিজ্য। এসকল মাদক বিক্রেতারা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়েছে আইন শৃঙ্খালা বাহীনির কাছে। ফের জামিনে এসে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শহরের আমলাপাড়া এলাকায় কালুর ছেলে সুমন, নুরুদ্দিনের ছেলে জিকু ওরফে ফরমা জিকু, ইয়াকুবের ছেলে বাবু ওরফে ইয়াবা বাবু ও সহকর্মীদের দিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে মাদক বিক্রি করে। জানা যায়, শহরের মাইছাপাড়া এলাকার কালু মিয়ার ছেলে সুমন। একাধিক মাদক মামলা আছে তার নামে। র‌্যাব-১১’র একটি টিম গত ১৫ জানুয়ারি রাতে সিরাজউদ্দৌলা সড়কে পান্ডে আলী মার্কেটের রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড ওয়ার্কশপ নামক দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ৬০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ১৮ হাজার ২’শ টাকা সহ গ্রেপ্তার করে সুমন (৩০) নামের এই মাদক বিক্রেতাকে। এছাড়াও বিভিন্ন থানায় ৭টি মাদক মামলা রয়েছে তার নামে। তবে জামিনে এসে ফের শহরের আমলাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রয় করছে সে।

জিকু ওরফে ফরমা জিকু। পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহীনির সোর্স হিসেবে কাজ করেন তিনি। মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেন। তবে সে নিজেই অনেক বড় মাদক বিক্রেতা। বিভিন্ন মাদক বিক্রেতার অভিযোগ, জিকুর কাছ থেকে মাদক ক্রয় না করলে সে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও এলাকার মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে প্রতি মাসে। যদি কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হয় তাহলে মাদকসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়া হয়। সোমবার শহরের আমলাপাড়ার জুনু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে জিকু। চাঁদা না দেয়ায় জুনুর বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সকলের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাবু ওরফে ইয়াবা বাবু। এলাকার খুচরা বিক্রেতার মূলে রয়েছে এই বাবু। সুমন ও জিকুর কাছ থেকে মাদক নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে মোটর সাইকেল দিয়ে বিক্রি করে সে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে বাবু আমলাপাড়া এলাকার বিভিন্ন ভবনে অবস্থান করে তার লোকজন দিয়ে মাদক বিক্রি করেন বলেও জানা যায়।

এলাকাবাসীর দাবি, আমলাপাড়া এলাকায় শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী বসবাস করেন। তাদের ছেলে-মেয়ে শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়ালেখা করেন। এসব মাদক বিক্রেতাদের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসক এখন খুবই ব্যস্ত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতারা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। তাই অনতি বিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

এসআইএস/এসএমআর